ধর্ম কি আমাদের অর্থ দিতে পারে

ধর্ম আমাদের কি কোন অর্থ দিতে পারে? উত্তর অবশ্যই হ্যা!! আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।শুধু মাত্র সনাতন ধর্ম আচরনে স্বর্গ মর্ত পাতালে পর্যন্ত রাজত্ব করা যেতে পারে।কুবের তুল্য সম্পদ পর্যন্ত লাভ করা যেতে পারে। তাহলে কিভাবে ধর্ম থেকে অর্থ পাওয়া যাবে?? উত্তর হচ্ছে,ধর্ম আমাদের সঠিক পথে চলার নিয়ম কানুন সাধন তপস্যা শেখায়।নির্দোষ কর্ম করা শেখায়।সঠিকভাবে অর্থ উপার্জনের কর্ম করলেই অর্থ ও শক্তি লাভ নিশ্চিত হবে।যা ধর্ম আমাদের শিখিয়ে দেয়।ধর্মীও ভাবে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে।কয়েকটি উদাহরন দিতেই হয়।যেমনঃ  ১। ব্যবসা করেঃ এই উপায়টি সকলবর্নের লোকের জন্য সর্বজনীন করে দেওয়া হয়েছে।কিভাবে ব্যবসা করতে হবে তার বিশ্লেষন বিস্তারিতভাবে দেওয়া হয়েছে।অনেকে ভাবতে পারে ব্যবসা করতে ত অনেক টাকা লাগবে তাহলে ত আমি পারব না।কিন্তু তা নয়। নিরুপায় উপায়ে পরের দারস্ত না হয়েও ব্যবসা করা যায়।একেবারে সিমিতপুজিতেই ব্যবসা করা যাবে ধর্মে এ রকম বহু উপায়ও দিয়েছে। ২। ক্ষত্রিয় শক্তিবলেঃ গুরু সান্নিধ্যে ক্ষত্রধর্ম ও দৈব অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষালাভ করে ত্রিভুবন নিজের আয়ত্বে রাখা যেতে পারে।এবং ব্রহ্মান্ডের সকল সম্পদের মালিক হওয়াও যেতে পারে।তবে এ শিক্ষা শুধুমাত্র জন্মসুত্রে ব্রাহ্মন ও ক্ষত্রিয় রাজবংশীয় ছাড়া অন্য কোন জাতি বা বর্নের লোকের জন্য চিরকালের জন্য নিষিদ্ধ। ৩।গুপ্তসম্পদ উত্তলন করেঃ সনাতনে গুপ্তসম্পদ উত্তলনের জন্য একটি অধ্যায় রয়েছে।তবে শিবভক্ত ও কালিসাধক ছাড়া এ শিক্ষা কেউ লোভবশত করলে মৃত্যু নিশ্চিত।গুরুর সান্নিধ্যে থেকে এ শিক্ষায় পারদর্শী হলে তবেই এ কাজে অগ্রসর হওয়া যেতে পারে। ৪।সাধনা করেঃ ৭দিনে, ১৫ দিনে ও ৩০দিনের কিছু ইষ্ট দেবী সরাসরী সামনা সামনা উপস্থিত করার প্রক্রিয়া  সনাতনে প্রসিদ্ধ আছে।এই ধরনের ছোট সাধনাগুলি উপযুক্ত অভিজ্ঞ গুরুর কাছে শিখে যে কোন জাতি বা বর্ণের লোক সে যত পাপিই হোক না কেন সবাই করতে পারে।এ সাধনাগুলি সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত।কিন্তু গুরুবীনা এই সাধনা করলে সফলতা আসে না। এ সাধনায় সফলতা পেলে সেই দেবীই প্রতিরাতে সাধকের হাতে স্বর্ণমুদ্রা দান করে।আজিবন সেই ব্যাক্তি বিরতিহীন ভাবে সম্পদ পেতেই থাকবে। ৫। ধর্মিও শিক্ষাদান ও চিকিৎসা করেঃ যদি কোন সনাতন ধর্মি বেদ বেদাঙ্গ ভালভাবে শিক্ষা করে থাকে তাহলে একেবারে আপদকালে যোগ্যব্যক্তিদের ধর্ম শিক্ষার বিনিময়ে অর্থ নেওয়া যাবে।এ ছাড়াও সনাতন ধর্ম শিক্ষা ভালভাবে আয়ত্ব করলে চিকিৎসা ক্ষেত্রেও পারদর্শিতা অর্জন হয়।আপদকালে  চিকিৎসা  করেও অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। ৬।যোগ সাধনাঃ সবচাইতে সনাতনীদের সুবিধা দিয়ে থাকে এই উপায়টি।যখন জন্মগত কোন ব্রাহ্মন ও ক্ষত্রীয় শুধু এই দুই জাতের লোকেরা সৎ গুরুর সান্নিধ্যে বেদ বেদাঙ্গ সম্পুর্ণভাবে শিক্ষালাভ করে তখন তারা যোগ বিদ্যাটিও ভালভাবে শিখতে পারে।মাত্র দেড়মাস থেকে ছয় মাসে অতি গোপনীয় যোগবিদ্যা অবলম্বন করলে সর্ব সিদ্ধি লাভ  পৃথীবির যেকোন প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই হয়ে থাকে।অতি আশ্চর্য বিষয় এই যে এত বড় সিদ্ধিসাধনা এটি অথচ এই সাধনায় কোন গুরুমন্ত্র বা ঈশ্বরের কোন বীজমন্ত্র বা কোন ঈশ্বরের নামেরও প্রয়োজন পড়ে না।শুধু বেদ জ্ঞান অর্জন হলেই হয়।গুরু সান্নিধ্যে বেদ বেদাঙ্গ শিক্ষা করতে মোটামুটি ৫ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২৪ বছর লাগতে পারে।আমার লেগেছে ২০০৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত।বিদ্যার টালমাতাল ঢেউ সামলাতে আরো ব্যায় হবে আমার ১০ বছর ।শিক্ষাগুলি সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে তন্ত্রমতে করতে হয়।তন্ত্র আর বেদ দুই-ই অভিন্ন।বেদ বিদ্যার অতি গুপ্ত শাখাগুলিই তন্ত্র।তারপর এই বেদজ্ঞান অর্জন হওয়ার পরই একজন মানুষ যোগসাধনায় সিদ্ধির উপযুক্ত হয়। এছাড়া আজিবন ট্রাই করলেও কোন ফল লাভ হবে না। এবার এই যোগসাধনায় কি কি লাভ হতে পারে বলছি। সনাতনের বেদ বেদাঙ্গের সকল শিক্ষা শুধুমাত্র জন্মগত ব্রাহ্মন ও ক্ষত্রীয়দের জন্য প্রসস্ত।কিন্তু অভিশাপ বশত ব্রাহ্মনেরা কলিকালে ধর্মীও বিদ্যা লাভ করবে না।অন্য নিচু বর্নের কথা শুনে কষ্ট লাগলেও করার কিছু নাই।অার কেউ মুর্খামি ও গর্ববোধ করে যদি বাজার থেকে বই কিনে হাজারবার পড়ে তবুও কোন লাভ নেই তার কোন মগজই কাজ করবে না।ভুল শিখবে ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়ে সর্বশান্ত হবে অথবা কোন জ্ঞানই অর্জন হবে না।অনধিকারী ব্যক্তি বেদ বাক্য উচ্চারন করলে তার মস্তক ছেদ করার জন্য ইন্দ্রদেবকে আদেশ করা হয়েছে।বর্তমানে মস্তক ছেদ অর্থে তার কঠিন ব্যাধি রোগ,অর্থহানি,অপমৃত্য নিজের বা প্রতিবেশির যে কারো নিশ্চিত হবে।বিঘ্ন আসবেই যেভাবেই হোক।তাই অভিজ্ঞ সৎ গুরুর শরনাপন্ন না হয়ে কেউ কোন লোভের গল্প শুনে অন্তত বেদজ্ঞান অর্জনের চেষ্টা না করাই ভাল।এই একটি মাত্র ধর্মগ্রন্থ যাহা পাপাচারীদের স্পর্শও নিষিদ্ধ চিরকালের জন্য।ধর্ম শিক্ষনের মনে খুব আগ্রহ? জন্মও অধম বংশে তাহলে কি ধর্ম জ্ঞান অর্জন হবে না? হ্যা হবে  তখন সৎ গুরুর সন্নিকটে বর্ণ সংস্কার করে নিয়ম মেনে সবকিছুর চর্চা করা যাবে।আর অতি সহজভাবে সকল জাতির লোকেরা তন্ত্রমতে দীক্ষানিয়ে তান্ত্রিকগুরুর কাছে সনাতনের সকল বিদ্যা শেখার সুযোগ রয়েছে।সচরাচর সিদ্ধিপ্রাপ্ত তান্ত্রিক গুরুরা কখনো কাউকে পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া শিষ্য করে না।বেশির ভাগক্ষেত্রে সৎ গুরুরা কাউকে শিক্ষাই দেন না।নিজেকে সকলের চোখ থেকে আড়ালে রাখেন।কারন একটাই সেখানেও পাপাচারীদের আশংখ্যা।কারন সনাতনের গোপন বিদ্যা গুলি এতটাই মারাত্মক যে পৃথীবী ধ্বংশ ও সৃষ্টির ক্ষমতা এক মানব সন্তানেরই হাতে থাকে।আর এ বিদ্যার মুল চাবিকাঠি হল শক্তিপ্রাপ্ত হয়ে প্রকৃতির উপর হাত বাড়ানো চলবে না।যেভাবে প্রকৃতি চলে সেভাবেই চলতে দিতে হবে।কখনো ভ্রম বশত কলিকাল আপনা আপনি শেষ না হওয়া অবধি শক্তি প্রয়োগ করে সত্যযুগ সৃষ্টি করার মন মানসিকতা আনা যাবে না।যোগসাধনা সিদ্ধিলাভ শুনতে সহজ মনে হলেও এর এতটাই পাওয়ার যে সপ্ত আকাশ পাতাল সব কিছু নিমিষেই আগুনে ভষ্মীভুত করে দেওয়া যেতে পারে এবং পুনরায় নতুন ব্রহ্মান্ডও সৃষ্টি  করা যেতে পারে।তাহলে ভাবুন এসব শক্তির  ধারক কি সাধারন মানুষের বাচ্চার হওয়া উচিত? কখনোই নয়। এই শক্তির আধার একমাত্র সেই হবে যে এর অপব্যবহার কখনোই করবে না। যার দুনিয়াতে সকল চাওয়া পাওয়া শেষ হয়েছে।কেবল সেই কামনা বাসনা হীন কোন মানুষের বাচ্চাই এই শক্তি পেতে পারে।এই রকম আশ্চর্য ক্ষমতা লাভের সুযোগ কেবল মানবকুলে জন্ম নিয়েই পাওয়া যায়।তাই মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।জিবিতকালে এই সাধনার একটাই উদ্দেশ্য থাকা উচিত তা হল আমি কেবল জিবিতকালেই মানবকুল থেকে দৈবকুলে নিজের একটা স্থান করে নিয়ে যতদিন মন হয় ততদিন ততবছর এ ধরাধামে থেকে লোকদেখানো নিজের মৃত্যু দেখিয়ে অথবা মৃত্যু ছাড়াই শ্বশরীরে অনাদিকালের জন্য শিবলোক ও দেবীলোকে গমন করব।দুনিয়ার মত এত কষ্টের জায়গায় অনন্ত কাল  অবধি যেন আর আসতে না হয় অথবা শুধু অনন্ত কাল অবধি আকাশ পাতালে যেখানে মন হয় বিচরন করেই বেড়াব কিন্তু কোন জীবের উপর শক্তির প্রভাব ফেলব না এই রকম মন মানুসিকতা থাকলেই এসব শক্তি পাওয়া যাবে। আর যত দিন সিদ্ধি না লাভ হয় বা হয়েও যদি যায় তাহলেও সাধারণ মানুষের মত নিজের প্রয়োজনীয়  যা না হলে চলবে না এই পর্যন্ত আমার শক্তি প্রয়োগ করে প্রয়োজন মেটাতে পারি।চাইলে পরবর্তি প্রজন্মের জন্য অফুরন্ত সম্পদ দুনিয়া ত্যাগ করার আগে রেখেও যেতে পারি।সচরাচর দৈবগুনাবলি লাভ করার পর আর ধন সম্পদ আত্মীয় আপনজন বন্ধুবান্ধব কারোই প্রতি মায়া মমতা ভালবাসার টান বন্ধন কিছুই থাকে না। কোন পদার্থ বা  জীবের প্রতি আকর্ষন- বিকর্ষন, দ্বেষ-বিদেষ, প্রয়োজন-অপ্রয়োজন কিছুই থাকে না। দুনিয়ার সবকিছু নিশ্প্রয়োজন মনে হবে তখন কোন কোন সাধক শুধুমাত্র কেবল কিছু বছরের জন্য অপেক্ষা করে।এরা এতই সুক্ষ বিবেক সম্পূর্ন হয় যে চাইলেই হাড়মাংসের দেহ নিয়ে শ্বশরীরে উর্ধগমন করতে পারে।তবুও আত্বীয় স্বজনরা যেন কিছু অনুধাবন করতে না পারে ও হঠাৎ বিয়োগে কেউ কষ্ট না পায় তাই এরা বার্ধক্য এসে স্বাভাবিক যেভাবে মানুষের মৃত্য হয় সেই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেহ রেখে যায়। এবার বলি যোগসিদ্ধির লক্ষন কি? আসলে যোগসিদ্ধি বেশ কয়েক প্রকারের হয়   আমি শুধু কয়েকটি লক্ষনের কথা বলব যা দিয়ে অভিঙ্গ সৎ গুরু  চেনা যাবে। অনিমাদির আটটি লক্ষন হচ্ছে- ১।নিষ্পাপ। সাধকের কোন পাপ বা পূর্ণ কিছুই থাকবে না।কারন পাপ থাকলে নরকে যাবে আর পূর্ন থাকলে সর্গে যাবে।তাই যার পাপ পূর্ণ কিছুই নাই তার উর্ধগমন হয়।ও ব্রহ্মান্ডের সর্বত্র তার অধীনে থাকে।অর্থাৎ পরমাত্মার সর্ব লক্ষন প্রাপ্ত হয়। ২।যে কোন শরীর ধারন করা মানে নিমিশেই সাধক যে কোন জীবের অবিকল রুপ ধারন করতে পাবে।এমন কি চোখের পলকে একই সাথে হাজার হাজার রপ ধারন করতে পাবে। ৩।নিমিশেই শুন্যে ভেসে সর্বত্র গমনা গমন করতে পারবে।আকাশ পাতাল স্বর্গ সর্বত্র মনোগামি হবে। ৪।বরদান ক্ষমতা।যাকে যা আশির্বাদ বা অভিশাপ দিবে তাই হবে। এর অন্যথা কখনোই হবে না। ৫।যাহা চাইবে তাহাই পাবে।সেটা যে কোন বস্তু ব্যক্তি ধনসম্পদ যাহাই হোক চাহিবা মাত্র পাবে। ৬।পরশরীরে প্রবেশ করার ক্ষমতা।সাধক সুক্ষ শরীরে যে কারো দেহের মধ্যে ঢুকে শয়তানের মত হাড়েহাড়ে, রগে রগে, রক্তকনিকায় মিশে গমনাগমন করে বেড়াতে পারবে। ৭।দিব্যদৃষ্টি বা দুরদর্শন ক্ষমতা।সাধক চোখ বন্ধ করেই ত্রিভুবনের কোথায় কি হচ্ছে সব দেখতে পাবে। ৮।মারন শক্তি।যে কোন শত্রু বা জীবকে সাধক অনাআশেই মেরে ফেলতে পারে।আর না চাইতেই সাধকের শত্রুরা মৃত্যুপাপ্ত হয় আপনা আপনি। এই ভাবে ধর্ম মানুষকে ধারন করতে পারে। আমাদের সনাতন ধর্মে কি আছে আর কেমন ও কি পাওয়া যাবে তার একটা ছোট্ট ইন্ট্র দিলাম মাত্র।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post